হারবেরিয়াম লাইব্রেরী
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের একটি নিজস্ব সমৃদ্ধ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাইব্রেরী রয়েছে। লাইব্রেরীটি উচ্চতর প্লান্ট ট্যাক্সোনমিক গবেষণায় নিয়োজিত দেশের সকল ছাত্র-ছাত্রী/গবেষকদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এই লাইব্রেরীতে বিভিন্ন দেশের ফ্লোরা এবং ফ্লোরিষ্টিক জার্নাল সংরক্ষিত রয়েছে। এখানে সংরক্ষিত ফ্লোরিস্টিক পুস্তক ও জার্নালের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার। বিভিন্ন দেশের বই-পুস্তক ছাড়াও বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম হতে প্রকাশিত ‘ফ্লোরা অব বাংলাদেশ’, ‘রেড ডাটা বুক অব ভাস্কুলার প্লান্টস্ অব বাংলাদেশ’সহ অন্যান্য পুস্তকসমূহ পড়ার এবং ক্রয়ের সুযোগ রয়েছে। প্রতি বছর উক্ত লাইব্রেরীর পাঠক এবং গবেষকদের চাহিদা মোতাবেক নতুন বই সংগ্রহ করা হয়। হারবেরিয়ামের পরিচালকের অনুমতি সাপেক্ষে সকল পাঠকদের জন্য লাইব্রেরীটি সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত প্রত্যেক দিন সকাল ৯.০০ ঘটিকা হতে বিকাল ৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত উম্মুক্ত। |
উদ্ভিদ চিত্রাংকন
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম যে চারটি বিভাগের মাধ্যমে কার্য সম্পাদন করে থাকে তার মধ্যে প্রকাশনা ও ইলাস্ট্রেশন এবং ডকুমেন্টেশন বিভাগ অন্যতম। এই বিভাগের অধীনে দুইটি শাখার মধ্যে প্রকাশনা ও ইলেস্ট্রশন শাখা মূলত: ন্যাশনাল হারবেরিয়াম হতে প্রকাশিত সকল ফ্লোরিস্টিক প্রকাশনার সার্বিক তত্ত্বাবধান, প্রচ্ছদ ডিজাইন, উদ্ভিদের ইলাস্ট্রেশন তৈরী ইত্যাদি কাজের সাথে জড়িত। এসব ইলাস্ট্রেশন সুদক্ষ হাতে শুধুমাত্র কালি ও কলমের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। এখানে প্রতিটি উদ্ভিদের বিভিন্ন অংঙ্গ যেমন - পাতার শিরা বিন্যাস, ফুলের অংশ, ফল, বীজ ইত্যাদি আলাদা ভাবে আঁকা হয়। এসব ইলাস্ট্রেশন উদ্ভিদ প্রজাতি সনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের আর্টিস্টগণ এ যাবত প্রায় ৯৫০ টি উদ্ভিদ প্রজাতির ইলাস্ট্রেশন প্রস্তুত করেছেন। এ সকল ইলাস্ট্রেশন 'ফ্লোরা অব বাংলাদেশ' সিরিজ, 'রেড ডাটা বুক অব ভাস্কুলার প্লান্টস্ অব বাংলাদেশ’, ‘অ্যাকোয়াটিক অ্যাঞ্জিওসপার্ম’, ‘এনসাইক্লোপিডিয়া অব ফ্লোরা এন্ড ফণা অব বাংলাদেশ’ এবং বিভিন্ন জার্ণালে গবেষণা প্রবন্ধের সাথে ছাপা হয়েছে। এছাড়া ফ্রেমে বাঁধাই এর লক্ষ্যে উক্ত শাখার কর্মকর্তাগণ উদ্ভিদের অনেক রঙিন চিত্রাবলী অংকন করেছেন। ছবি অংকনের পাশাপাশি আর্টিস্টগণ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন সভা, সেমিনার, মেলা ইত্যাদির সাজ-সজ্জা ও অলংকরণের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। |